নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতার জেরে কমপক্ষে ৩০ জন আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুই পুলিশ আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করেছিল। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে।
নেদারল্যান্ডসের বার্তাসংস্থা এএনপি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারী শহরের একটি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘নির্লজ্জ সহিংসতার এমন দৃশ্য একেবারেই মেনে নেয়া যায় না।’
ডানপন্থী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে বিক্ষোভে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তিনি যোগ দেননি। বরং তিনি নিজেও পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করে বলেন, এটি ‘মূর্খদের কাজ।’
ওয়াইল্ডার্স আগের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন এবং আগামী ২৯ অক্টোবরের ভোটের আগেও জরিপে এগিয়ে আছেন।
বিক্ষোভের আয়োজন করেন এক ডানপন্থী কর্মী। তিনি অভিবাসননীতি কঠোর করার ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে ডাচ পতাকা ও উগ্র-ডানপন্থী সংগঠনের পতাকা বহন করছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা মধ্য-বামপন্থী ডি৬৬ দলের সদর দফতরের জানালা ভাঙচুর করে। দলের নেতা রব জেটেন জানান, তাদের কার্যালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘রাজনৈতিক দল থেকে দূরে থাকতে’ বলেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেন, ‘যদি মনে করেন যে আপনারা আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন, তাহলে ভুল করছেন। আমরা কখনোই উগ্র সহিংসতাকারীদের হাতে আমাদের সুন্দর দেশ ছেড়ে দেব না।
উল্লেখ্য, অভিবাসন নিয়ে বিতর্কের পর ওয়াইল্ডার্স তার অতিডানপন্থী পিভিভি দলকে ক্ষমতাসীন জোট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর জুন মাসে ডাচ সরকার ভেঙে পড়ে। ওয়াইল্ডার্স অতিরিক্ত ১০টি আশ্রয়বিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে চাপ দেয়ার পর এই বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে আশ্রয়ের আবেদন স্থগিত রাখা, নতুন রিসেপশন সেন্টার তৈরি বন্ধ করা এবং পরিবার পুনর্মিলন সীমিত করা।
সূত্র : বিবিসি