রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যদি কোনো চুক্তিতে রাজি না হয় তবে রাশিয়া তার সব লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনে এক সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেছেন। অনেকেই কুচকাওয়াজটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্র-শাসিত বিশ্বব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
পুতিনকে বারবারই যুদ্ধ থামাতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু পুতিন তার ‘আন্তরিক প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করলেও এখন পর্যন্ত যুদ্ধ থামাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
ইউক্রেন সফররত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বিবিসিকে বলেন, ট্রাম্প পুতিনকে আলোচনার টেবিলে এনেছেন। প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যসহ মিত্ররা রাশিয়ার ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ দেবে এবং ইউক্রেনকে আরো সামরিক সহায়তা দেবে।
এর আগে, গত মাসে আলাস্কায় পুতিনের সাথে বৈঠক করে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে তাকে বের করেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে পুতিনের সাক্ষাতেরও চেষ্টা করেছিলেন।
বুধবার পুতিন বলেন, ‘আমি কখনোই এমন বৈঠকের সম্ভাবনা বাতিল করিনি। কিন্তু এতে কি কোনো লাভ হবে? দেখা যাক।’
তিনি আরো বলেন, যেকোনো বৈঠকের আগে যথাযথ প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। জেলেনস্কি চাইলে মস্কোতেও আসতে পারেন। কিন্তু ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে সাথে একে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
পুতিনের বৈঠকের প্রতি অনীহাকেই জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে রাশিয়ান নেতা আমার অবস্থান কোথায় তা জানেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে আমার কোনো বার্তা নেই। তিনি জানেন আমি কোথায় আছি এবং তিনি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
সূত্র : বিবিসি