বাণিজ্য চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রফতানিতে ঘুরে দাঁড়াল যুক্তরাজ্য

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের গাড়ি রফতানিতে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। যদিও তা বছরে সর্বোচ্চ এক লাখ গাড়ির জন্য প্রযোজ্য।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত নতুন বাণিজ্য চুক্তির ফলে শুল্ক কমেছে যুক্তরাজ্যের। এতে গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রফতানিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত শিল্পখাতের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লন্ডন থেকে এএফপি জানিয়েছে, টানা তিন মাস পতনের পর জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রফতানি বেড়েছে ৬.৮ শতাংশ। যা প্রায় ১০ হাজার ইউনিটের সমান। সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স (এসএমএমটি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এসএমএমটি’র আগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন গাড়ি রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৫৫.৪ শতাংশ কমে যায়। এপ্রিল ও জুনে তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র পতন হয়েছিল।

এসএমএমটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ গাড়ি উৎপাদনের সবচেয়ে বড় একক জাতীয় বাজার হিসেবে রয়ে গেছে। যা যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরে। জুলাই মাসের প্রবৃদ্ধি এই চুক্তির প্রভাব সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করেছে।’

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের গাড়ি রফতানিতে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। যদিও তা বছরে সর্বোচ্চ এক লাখ গাড়ির জন্য প্রযোজ্য।

এর আগে, এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের গাড়ি রফতানিতে ২৭.৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। ফলে চাহিদা কমে যায়। জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার (জেএলআর) ও অ্যাস্টন মার্টিনসহ শীর্ষ প্রস্তুতকারকরা রফতানি সীমিত বা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

গত বছর যুক্তরাজ্যে উৎপাদিত প্রায় ৮০ শতাংশ গাড়ি রফতানি হয়। যার অধিকাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে।

যুক্তরাজ্যের গাড়ি খাত মূলত বিদেশী মালিকানাধীন ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের জায়ান্ট নিসান ও ভারতের মালিকানাধীন জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার। জার্মান মালিকানাধীন বেন্টলি ও রোলস-রয়েসের মতো কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যে উৎপাদিত বিলাসবহুল মডেলগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র : বাসস