রাশিয়ার বিমান অনুপ্রবেশ মোকাবেলায় ন্যাটোর সক্ষমতা আরো জোরদার করা হচ্ছে। জোটটির সদস্যদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ন্যাটোর ৩১টি সদস্য দেশের মন্ত্রীদের সাথে এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান অনুপ্রবেশের পর ব্রাসেলসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা সীমান্ত পেরিয়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশে রহস্যজনক ড্রোনের উপস্থিতি বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এই ড্রোন সামরিক স্থাপনাগুলোর কাছাকাছিও দেখা গেছে, যা আবারো উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়া সীমা পরীক্ষা করছে ও ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া যাচাই করছে।
একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন উপায়ে আমরা রাশিয়ার সাথে দীর্ঘমেয়াদি ও তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছি।’
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট বলেন, ‘আমরা যা প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তা করছি এবং এটি কাজ করছে। তবে আমাদের আরো কিছু করতে হবে।’
এই ঘটনার পর ন্যাটো একটি নতুন মিশন চালু করেছে এবং তাদের বাহিনী বাড়িয়েছে। তবে রাশিয়ার কাছাকাছি থাকা কিছু দেশ আরো কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, জোটটি রুশ অনুপ্রবেশ মোকাবেলার জন্য তার নিয়ম-কানুনগুলোকে আরো পর্যালোচনা করতে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পদ্ধতির সমাধান করতে চাইছে।
এছাড়া, ইউক্রেন যেসব কম খরচের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং অ্যান্টি-ড্রোন সক্ষমতা উন্নত করার কাজও ত্বরান্বিত করছে ন্যাটো।
সূত্র : বাসস