রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা হয়নি বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এমন এক সময়ে তিনি এই তথ্য জানালেন, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাথে রাশিয়ার কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার এবং মার্কিন মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি’র সাংবাদিক ক্রিস্টেন ওয়েকারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা হয়নি। জেলেনস্কির সাথে পুতিন সাক্ষাৎ করতে তখনই প্রস্তুত হবেন, যখন অ্যাজেন্ডাগুলো চূড়ান্ত হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছুই ঘটেনি।’
সোমবার জেলেনস্কি ও কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা হোয়াইট হাউসে বৈঠক করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে খুব শিগগিরই একটি বৈঠক হবে। তিনি এ-ও বলেছিলেন, তারা উভয়ই দেখা করতে সম্মত হয়েছেন।
কিন্তু গতকাল ল্যাভরভ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি ক্রেমলিনের দাবির পুনরাবৃত্তি করে চতুর্থ বছরে পড়া এই সংঘাত সমাধানের জন্য পুতিন-জেলেনস্কির সরাসরি আলোচনায় বসার আশা একপ্রকার ভেঙে দেন।
এদিকে কিয়েভে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটের সাথে সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের ‘রাশিয়ার সাথে কোনো চুক্তি হয়নি’। তিনি বলেন, ইউক্রেন কেবল ট্রাম্পের সাথে কূটনৈতিক দিকনির্দেশনা কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে একমত হয়েছে।
সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সর্বশেষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সময় ইউক্রেনের জন্য চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়া কিয়েভের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কিন্তু মস্কো পরে জানায়, রাশিয়া ছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা কোনো সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে না।
সূত্র : এএফপি