১৪ বছরের কম বয়সীদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

আইন না মানলে ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানাও করা হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধের বিষয়ে একটি আইন পাস করেছে। এর আগেও, একই রকম একটি নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক হওয়ার কারণে বাতিল করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আইনপ্রণেতারা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে নতুন আইনটি পাস করেছেন।

আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েরা স্কুলে ‘ইসলামী রীতি অনুসারে মাথা ঢেকে রাখার’ জন্য হিজাব পরতে পারবে না। এছাড়াও নিয়ম না মানার জন্য ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

এর আগে, ২০১৯ সালে দেশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ বছরের কম বয়সীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু পরের বছর সাংবিধানিক আদালত নিষেধাজ্ঞাটি অবৈধ বলে তা বাতিল করে। রায়ে বলা হয়, এটি মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং ধর্মীয়ভাবে নিরপেক্ষ থাকা রাষ্ট্রের কর্তব্যের পরিপন্থী।

অস্ট্রিয়ার সরকার বলেছে, এই আইনটিকে আদালতে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

দেশটিতে সম্প্রতি অভিবাসন-বিরোধী ও ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যেই তিন মধ্যপন্থী দলের শাসক জোট এই আইনের প্রস্তাব দেয়। এতে অতি-ডানপন্থী দল ফ্রিডম পার্টিও সমর্থন জানিয়েছে। দলটি চেয়েছিল, এ আইন যেন সব শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ওপর কার্যকর হয়। শুধুমাত্র গ্রিন পার্টি এ আইনের বিরোধিতা করেছে।

ক্ষমতাসীন জোটের নেতৃত্বদানকারী রক্ষণশীল পিপলস পার্টির ইন্টিগ্রেশন মন্ত্রী ক্লডিয়া প্লাকলম অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হিজাব পরাকে ‘নিপীড়নের প্রতীক’ বলে অভিহিত করেন।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিজ ইনিশিয়েটিভের একজন সিনিয়র গবেষক ফরিদ হাফেজ বলেন, এই উদ্যোগ ‘অস্ট্রিয়ায় আধিপত্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবকে প্রতিফলিত করে’।

আইনটির পক্ষে ভোট দেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবশেষ আইনটি কেবলমাত্র অতি-ডানপন্থী সরকারের কাছ থেকেই আসেনি।

সূত্র : আল জাজিরা