রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে সম্ভাব্য দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উশাকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পুতিন পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। এটি (ইউক্রেনে) শান্তিপূর্ণ সমাধান আনবে না, বরং আমাদের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করবে।’
প্রায় আড়াই ঘণ্টার কথোপকথনটি ‘খুবই বাস্তবসম্মত, কিন্তু অত্যন্ত স্পষ্ট ও গোপনীয়’ ছিল উল্লেখ করে উশাকভ বলেন, আলোচনার সময় ইউক্রেন যুদ্ধের উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে এবং ট্রাম্পকে পুতিন ‘বর্তমান পরিস্থিতির বিস্তারিত মূল্যায়ন’ প্রদান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দুই দেশের প্রেসিডেন্ট আরেকটি মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একমত হয়েছেন যে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা অবিলম্বে একটি শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করবেন। বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান হবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট।
পুতিন ও ট্রাম্প সর্বশেষ আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের কূটনৈতিক তৎপরতা পরবর্তী মাসগুলোতে স্থবির হয়ে পড়ে। যার কারণে ট্রাম্প ন্যাটো মিত্রদের সাথে মিলে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে বাধ্য হন। তিনি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে দেশগুলোকে বাধ্যও করেন।
পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে এই ফোনালাপ এমন এক সময় হলো যখন শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বৈঠকে জেলেনস্কি বিমান প্রতিরক্ষা ও দূরপাল্লার সক্ষমতাকে আলোচনার প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরবেন।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে তিনি কিয়েভে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো নিয়ে বিবেচনা করছেন।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি



