রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা পুনরুজ্জীবিত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার (১৯ নভেম্বর) তুরস্কে যাবেন বলে জানা গেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি স্থবির শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে চান। শান্তি আলোচনাটি এই বছর ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার কয়েক দফা সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পরে স্থগিত হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, মস্কো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি। এর পরিবর্তে তারা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রিদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার তিনি আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সাথে বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত শান্তি অর্জন নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’
এদিকে একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, শান্তি প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রেকে পুনরায় যুক্ত করা।’
ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ওয়াশিংটন রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে পারবে বলে কিয়েভ আশা করছে। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইউক্রেনের আরেক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ তুরস্কে জেলেনস্কির সাথে আলোচনায় যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, বুধবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো রুশ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন না। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে আলোচনার জন্য তারা এখনো আগ্রহী।
এই বৈঠকে রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধি না থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার দরজা খোলা আছে বলে ক্রেমলিন উল্লেখ করেছে। এদিকে মার্কিন আইনপ্রণেতারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাস ক্রয়কারী সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার জন্য একটি বিল নিয়ে কাজ করছেন।
সূত্র : বাসস



