ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বুধবার (৮ অক্টোবর) ভারতে পৌঁছেছেন। এর কয়েক মাস আগে লন্ডন ও নয়াদিল্লি দীর্ঘ আলোচনার পর একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মুম্বাই থেকে এএফপি জানিয়েছে, এটি স্টারমারের প্রথম ভারত সফর। এই সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছেন। তার সাথে ১২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী শন ডয়েলসহ শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা রয়েছেন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে লন্ডনে স্টারমারের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুই দিনের এই সরকারি সফর শুরু হয়েছে। স্টারমার বৃহস্পতিবার মোদির সাথে আবারো বৈঠক করবেন। এরপর মুম্বাইয়ে একটি ফিনটেক সম্মেলনে যৌথভাবে বক্তব্য রাখবেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। এতে তাদের সাথে বাণিজ্য আরো দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে। এই সুযোগগুলো এক কথায় অনন্য। এগুলো কাজে লাগালে দুই দেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
ভারত ও তার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক যুক্তরাজ্য বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীক বাণিজ্য ও বিনিয়েগের পরিমাণ প্রায় ৫৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিনিয়োগে উভয় দেশে ছয় লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই সফর ভারত ও যুক্তরাজ্যের যৌথ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দেবে।’
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত বৃটিশ পণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে। এর মধ্যে রয়েছে হুইস্কি, প্রসাধনী ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ভারতীয় পোশাক, জুতা ও হিমায়িত চিংড়িসহ খাদ্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে।
তবে শিল্পখাতের চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পেশাজীবীদের জন্য ভিসা সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি স্পষ্টভাবে নাকচ করেছেন স্টারমার। মুম্বাই যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা পরিকল্পনার অংশ নয়।’
স্টারমার বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি সেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুফল কাজে লাগাতে, যেটিতে আমরা ইতোমধ্যে স্বাক্ষর করেছি। এখন আমাদের সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সূত্র : বাসস