ইউক্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত ২৬ দেশ : ম্যাক্রোঁ

বৃহস্পতিবার ৩৫টি দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’ শীর্ষক এক বৈঠক শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ |সংগৃহীত

পশ্চিমা বিশ্বের ২৬টি দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির পরদিনই দেশটিতে স্থল, নৌ বা আকাশপথে সেনা পাঠাতে ২৬টি পশ্চিমা মিত্রদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৩৫টি দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’ শীর্ষক এক বৈঠক শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্ভবত আকাশ প্রতিরক্ষার আকারে আসতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, তিনি ‘ইউক্রেনের আকাশের সর্বোচ্চ সুরক্ষা’ সম্পর্কে মার্কিন নেতার সাথে কথা বলেছেন।

তবে, গত মাসে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার পর ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার কোনো সম্ভাব্য চুক্তির আশা ম্লান হয়ে গেছে।

ফিনিশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের ফোনালাপের বিবরণ অনুসারে, ট্রাম্প আরো বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে হবে। যাতে অর্থনৈতিকভাবে মস্কোর যুদ্ধযন্ত্র থামানো যায়।

২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে সব গ্যাস ও তেল আমদানি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত এক বছরে ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে অন্তত ১.১ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের জ্বালানি কিনেছে।

চুক্তি হলে খুব কম দেশই প্রকাশ্যে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, তারা স্থল সেনা পাঠাবে না। ইউরোপীয় কূটনীতিকদের মতে, এখনই এ ঘোষণা দিলে সেটি পুতিনের পশ্চিমবিরোধী প্রচারণাকে আরো জোরদার করবে।

এদিকে মস্কো স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা যাবে না। বরং রাশিয়াকেই অস্ত্রবিরতির ‘গ্যারান্টার’দের মধ্যে থাকতে হবে। তবে কিয়েভ ও তার মিত্ররা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

সূত্র : বিবিসি