ইউক্রেনে বিদেশী সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যেকোনো আলোচনার সম্ভাবনা রাশিয়া স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, মস্কো ‘কোনো ধরনের’ আন্তর্জাতিক সংঘাত-পরবর্তী নিরাপত্তা বাহিনীর আলোচনা গ্রহণ করবে না।
রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্তকে অনুষ্ঠিত পূর্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের জাখারোভা বলেন, ‘ইউক্রেনে মৌলিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ও নিরাপত্তা-ক্ষুণ্নকারী বিদেশী হস্তক্ষেপের বিষয়ে রাশিয়া কোনোভাবেই আলোচনা করবে না।’
জাখারোভা বলেছেন, ‘ইউরোপীয় নেতারা যারা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি চুক্তি হলে বহুজাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, তাদের খেয়াল রাখা উচিত, পরের বার যখন তারা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইবেন, তখন তাদের কাছে রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে একটি নির্দেশিকা থাকা উচিত।’
এই সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন দার লিয়েন ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, ইউক্রেনে একটি বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ রয়েছে। এরপরই জাখারোভা এই মন্তব্য করলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা আজ বৃহস্পতিবার প্যারিসে কিয়েভের জন্য সংঘাত-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিশদ বিবরণ নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
এর আগে, বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিশদ বিবরণ তৈরি করা হয়েছে। তবে তা এখনি প্রকাশ করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘যেদিন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে সেদিনই আমরা ইউরোপীয়রা, ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয়দের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত থাকব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংঘাতের দ্রুত অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির শর্তাবলীতে মস্কো ও কিয়েভ এখনো কোনো শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।
সূত্র : আল জাজিরা



