রোমে মধ্যযুগীয় টাওয়ার ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

রোমে আংশিক ধসে পড়া মধ্যযুগীয় টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া রোমানিয়ার এক শ্রমিক অক্টাই স্ট্রোইসির মৃত্যু হয়েছে; এ ঘটনায় আরো তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
রোমে আংশিক ধসে পড়া মধ্যযুগীয় টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান
রোমে আংশিক ধসে পড়া মধ্যযুগীয় টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান |সংগৃহীত

ইতালির রোমে আংশিক ধসে পড়া একটি মধ্যযুগীয় টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা এক শ্রমিকের মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ইতালীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।

রোমানিয়ার নাগরিক অক্টাই স্ট্রোইসিকে দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের সময় সচেতন ছিলেন এবং গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উমবার্তো আই হাসপাতালের বরাত দিয়ে ইতালীয় বার্তাসংস্থা এএনএসএ জানিয়েছে, ‘অক্টাই স্ট্রোইসিকে বাঁচানোর জন্য প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করা হয়।’

তারা আরো জানায়, ‘তা সত্ত্বেও স্বতঃস্ফূর্ত হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করা যায়নি’ এবং রাত ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি টোরে দেই কন্টি সংস্কারে সাহায্য করছিলেন।

সোমবার দুপুরের কিছুক্ষণ আগে মধ্যযুগীয় টাওয়ারটি আংশিকভাবে ধসে পড়ে যার ফলে রাস্তায় ধ্বংসস্তূপ এবং বাতাসে ঘন সাদা ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে পড়ে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা দুর্ঘটনার সাথে ইউক্রেনের প্রতি ইতালির সমর্থনের যোগসূত্র রয়েছে বলে বক্তব্যের পর ইতালি সরকার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মারিয়া বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ইতালির সরকার করদাতাদের অর্থের অপচয় করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনীতি থেকে শুরু করে এর টাওয়ার পর্যন্ত পুরো ইতালি ভেঙে পড়বে।’

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি মারিয়ার এই মন্তব্যকে ‘লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে এর নিন্দা করেছেন।

অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আরো তিন শ্রমিককে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইম্পেরিয়াল ফোরামের ঠিক পাশে এবং ইতালির শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র কলোসিয়ামের কাছে একটি ব্যস্ত এলাকায় টাওয়ারটি অবস্থিত।

প্রায় দেড় ঘণ্টা পর টাওয়ারটির দ্বিতীয় আংশিক ধসের ফলে আরো ধুলোর মেঘ তৈরি হয়।

প্রথম ধসের পর দমকল কর্মীরা আটকে পড়া ব্যক্তির চারপাশে ‘কিছুটা সুরক্ষা’ তৈরি করতে সক্ষম হন। এর ফলে দ্বিতীয় ধসের সময় তাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

প্রথম ধসের সময় ভেতরে থাকা ওটাভিয়ানো নামের ৬৭ বছর বয়সী এক কর্মী জানান, তিনি একটি বারান্দা থেকে পালিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘এটি নিরাপদ ছিল না। আমি কেবল বাড়ি যেতে চাই।’

তিনি জানান, সাদা ধুলো তার পোশাক ঢেকে রেখেছিল।

ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের টোরে দেই কন্টিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল দিয়ে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছিল।

রোমের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবারের ধসের ফলে টাওয়ারের ভিত্তির একটি অংশ, সিঁড়ির কিছু অংশ ও ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সূত্র : বাসস