কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ১৫ জন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ ওডেসার বন্দর অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত হয়েছেন এবং আরো ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কো এই গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। রুশ তেল বহনকারী ট্যাঙ্কারগুলোতে ইউক্রেনের ধারাবাহিক হামলার প্রতিশোধ নেয়ার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকির পর থেকে এমন হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়া ওডেসায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরবরাহ ও জ্বালানি অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এর ফলে মলদোভা সীমান্তের একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তীব্র শীতের মধ্যে লাখ লাখ মানুষের বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই হামলায় আঞ্চলিক বন্দরগুলোতে থাকা বিদেশী পতাকাবাহী বেসামরিক জাহাজগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার ইউক্রেন জানায়, তারা ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ পানিসীমায় মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী ‘শ্যাডো ফ্লিট’ (ছায়া বহর) এর আরো একটি ট্যাঙ্কারে আঘাত হেনেছে। প্রায় চার বছরের এই যুদ্ধে ভূমধ্যসাগরে এটিই তাদের প্রথম হামলা।
অন্যদিকে ইউক্রেন এই মাসের শুরুর দিকে কৃষ্ণ সাগরেও একই ধরণের জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়েছিল।
যুদ্ধের অবসানের জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চলাকালীন সময়ে শুক্রবারের হামলা করা হয়। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মিয়ামিতে আরেকটি বৈঠকে জন্য সমবেত হয়েছেন।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে হামলার পরিধি আরো বাড়াবে এবং ট্যাঙ্কারগুলোতে হামলা অব্যাহত রাখলে সমুদ্রে ইউক্রেনের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি



