গাজা উপত্যকায় তীব্র শীতের কারণে এক মাস বয়সী আরো এক ফিলিস্তিনি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। চলমান ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ ও চরম মানবিক সঙ্কটের মধ্যে এভাবে একের পর এক প্রাণহানি ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাপমাত্রা হঠাৎ করে তীব্রভাবে কমে যাওয়ায় এক মাস বয়সী শিশু সাঈদ আসাদ আবিদীনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর ফলে সাম্প্রতিক শৈত্যপ্রবাহ ও চরম আবহাওয়াজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জনে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সতর্ক করে জানিয়েছিল, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শিশুদের জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের গণহত্যার কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে বহু পরিবার পর্যাপ্ত আশ্রয় ও উষ্ণতার ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত।
কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অত্যন্ত দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর অনেক পরিবার তাঁবু বা অস্থায়ী কাঠামোয় আশ্রয় নিয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর তারা কম্বল, গরম রাখার সামগ্রী ও শীতবস্ত্রের তীব্র সঙ্কটে ভুগছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বারবার অভিযোগ করেছে, ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও এর মানবিক প্রটোকলের আওতায় ইসরাইল তার দায়বদ্ধতা পূরণ করছে না। এর মধ্যে আশ্রয় নির্মাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য তিন লাখ তাঁবু ও মোবাইল ঘর সরবরাহের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রায় ৭০ হাজার ৭০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ১০০ জনের বেশি।
১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে এই হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি



