তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, সর্বশেষ প্যাকেজে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার মূল্যের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স) ও আরো প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের স্বচালিত হাউইটজার (কামান) রয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণ যুক্তরাষ্ট্রের
তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণ যুক্তরাষ্ট্রের |সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার (৮.২ বিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। এতে উন্নত রকেট লঞ্চার, স্বচালিত হাউইটজার (কামান) ও বিভিন্ন ধরনের মিসাইল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে, এই প্যাকেজটি পেতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে হবে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি হবে তাইওয়ানের কাছে দ্বিতীয় অস্ত্র বিক্রি।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, সর্বশেষ প্যাকেজে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার মূল্যের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স) ও আরো প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের স্বচালিত হাউইটজার (কামান) রয়েছে।

এই বিক্রি অনুমোদিত হলে এর আকার আগের প্রশাসন জো বাইডেনের সময়কার ১৯ দফা অস্ত্র বিক্রির মোট আট দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে যাবে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তাইওয়ানের কাছে মোট ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদিত হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক প্যাকেজ ছিল আট বিলিয়ন ডলারের।

চীন এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বেইজিং বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে।’

অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, এই চুক্তি দ্বীপটির দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক চীনের সাথে, তাইওয়ানের সাথে নয়। তবে বহু দশক ধরে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে এক সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখেছে। তবু যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের শক্তিশালী মিত্র এবং দ্বীপটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া, জলসীমা ও আকাশসীমায় নিয়মিত অনুপ্রবেশের মাধ্যমে চাপ বাড়িয়েছে চীন। নতুন অস্ত্র বিক্রির ঘোষণায় তাই ক্ষব্ধ হয়েছে বেইজিং।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন দেয়ার চেষ্টা করছে যা শেষ পর্যন্ত উল্টো ফল বয়ে আনবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি তাইওয়ান প্রণালিতে একটি বিপজ্জনক ও সহিংস পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে।’

সূত্র : বিবিসি