থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া বুধবার (৩০ জুলাই) একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। এই যুদ্ধবিরতি সম্প্রতি তাদের সীমান্তে সংঘর্ষ বন্ধে কার্যকর হয়েছিল।
ব্যাংকক থেকে এএফপি জানিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী মন্দির নিয়ে চলা বিরোধ ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে রূপ নিয়েছিল উন্মুক্ত যুদ্ধে।
কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট খুয়োন সুদারি অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি জেনেভায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিশ্ব সংসদীয় সম্মেলনে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি রক্ষায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও পরিদর্শক দল মোতায়েন করা জরুরি। যারা চুক্তি লঙ্ঘন করছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিসাকেত প্রদেশে থাই সেনাবাহিনীর ওপর কম্বোডিয়ান বাহিনীর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যা বুধবার সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
থাই সরকারের মুখপাত্র জিরায়ু হুয়াংসাব বলেন, রাতভর সংঘর্ষের পরও থাই বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল এবং স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, থাইল্যান্ড দুইবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই লড়াইয়ের কারণে দুই দেশ মিলে সীমান্ত এলাকা থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক দুই দেশকে পুরোপুরি চুক্তি বাস্তবায়নের ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিকে উভয়পক্ষের আন্তরিকভাবে সম্মান জানাতে হবে। যাতে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংঘাতের মূল কারণ সমাধান করা যায়।’
সূত্র : বাসস