এশিয়া সফরের শেষভাগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করার কথা রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, বৈঠকে চীনের সাথে একটি ‘বড় চুক্তি’ স্বাক্ষর করার আশা করছেন তিনি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প বলেছেন, প্রত্যাশিত বাণিজ্য চুক্তি উভয় দেশের জন্যই ভালো হবে এবং ‘সবার জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ কিছু’ হবে।
গিওংজুতে অ্যাপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক ব্যবসায়িক মধ্যাহ্নভোজে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই একটা দারুন ফলাফল হবে। লড়াই করে নানা ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়ার চেয়ে এটা ভালো।’ তবে তিনি প্রত্যাশিত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার গিয়ংজু থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে উপকূলীয় শহর বুসানে শি’র সাথে ট্রাম্পের বৈঠক করার কথা রয়েছে। চীনের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর এটি তাদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
মালয়েশিয়া ও জাপানে যাত্রাবিরতির পর ছয় দিনের এশিয়া সফরের শেষ পর্যায়ে থাকা ট্রাম্প শেষবার ২০১৯ সালে জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শি’র সাথে দেখা করেছিলেন।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন যে চুক্তিটি ‘অনেক সমস্যার’ সমাধান করবে এবং বেইজিং ফেন্টানাইল উৎপাদন কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার বিনিময়ে চীনা পণ্যের ওপর কম শুল্ক অন্তর্ভুক্ত করবে।
মধ্যাহ্নভোজের ভাষণে ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি খুব শিগগিরই দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করবেন। দেশ দুটি কম শুল্কের বিনিময়ে সিউলের ৩৫০ বিলিয়ন বিনিয়োগ প্যাকেজের সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে মতবিরোধের কারণে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা



