যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পাল্টা গোলাগুলি

ইসলামাবাদ কাবুলকে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে গত মাসে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের লক্ষ্যে তুরস্কে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল নতুন করে বৈঠকে বসেছে। এর মধ্যেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের আবারো দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আলোচনার লক্ষ্য ছিল ১৯ অক্টোবর কাতারে অনুমোদিত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করা। যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটায়। ওই সংঘর্ষে দুই দেশের সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকসহ কয়েক ডজন মানুষ নিহত এবং শত শত আহত হয়।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো তাদের বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইসলামাবাদ কাবুলকে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে আফগানিস্তান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে পাকিস্তানি পক্ষের সাথে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হলেও, আজ বিকেলে পাকিস্তানি বাহিনী আবারো স্পিন বোলদাকে গুলি চালিয়েছে। যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।’

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাতের বাহিনী আলোচক দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বেসামরিক হতাহত রোধ করার জন্য তারা এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।’

স্পিন বোলদাক শহরটি দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে অবস্থিত। তবে পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং আফগানিস্তানের ওপর দায় চাপিয়েছে।

পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক্সে দেয়া এক বার্তায় জানায়, ‘চামানে পাক-আফগান সীমান্তে আজকের ঘটনা সম্পর্কে আফগান পক্ষের প্রচারিত দাবি আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে গুলি চালানো শুরু হয়েছিল। এর জবাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’

সূত্র : আল জাজিরা