পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই কাতারে দু’দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
শনিবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ও গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল আসিম মালিক আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় অংশ নিতে আজ দোহা যাচ্ছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করে। এতে সীমান্তে দু’দিনের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হয় এবং দু’দেশের সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনায় পড়ে।
কান্দাহারের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছেন, আফগান সীমান্ত বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে স্পিন বোলদাক থেকে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, পাকিস্তানের নির্বিচারে বোমাবর্ষণের কারণে এই পরিবারগুলো পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং মরুভূমি ও অন্যান্য অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে যেখানে মৌলিক জীবনযাত্রার সুযোগ-সুবিধা খুবই কম।
কান্দাহার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিভাগের উপ-প্রধান নেমাতুল্লাহ ওলফাত বলেছেন, ‘পাকিস্তানি পক্ষ স্পিন বোলদাকের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নৃশংস বোমাবর্ষণ করেছে। ফলস্বরূপ, ২০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আমরা তাদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছি।
স্পিন বোলদাকের এক বাসিন্দা, যিনি যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, ‘গতকাল সকালে, আমাদের বাড়িতে একটি রকেট আঘাত হানে এবং দু’টি ঘর ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমরা ভোরেই বাচ্চাদের বের করে এনেছিলাম।’
আরেক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এই গাড়িটি দেখুন, এটি পুড়ে গেছে। দোকানগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ এখনো অজানা।’
স্পিন বোলদাকে সংঘর্ষের সময় ২১০ জন বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি ৮০টি বাড়ি এবং ৫০টি দোকান ধ্বংস করা হয়েছিল এবং পাকিস্তানি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার কারণে ১০টি গাড়ির ডিলারশিপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সূত্র : বাসস এবং অন্যান্য