ব্লাব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ ভারতের ঝাড়খণ্ডের ৫ শিশু

সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ব্লাডব্যাংকের রক্ত নেয়ার পর এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ভারতের পাঁচটি শিশু।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ ভারতের ঝাড়খণ্ডের পাঁচটি শিশু
ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ ভারতের ঝাড়খণ্ডের পাঁচটি শিশু |বিবিসি

সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ব্লাডব্যাংকের রক্ত নেয়ার পর এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ভারতের পাঁচটি শিশু। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত থাকার কারণে তাদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়।

ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার সরকারি সদর হাসপাতালের এই ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।

পশ্চিম সিংভূমের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমার নিশ্চিত করেছেন, ওই হাসপাতাল থেকে রক্ত নেয়ার ফলে আট বছরের কম বয়সী ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত পাঁচটি শিশু এখন এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়েছে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর চাইবাসার সিভিল সার্জন, এইচআইভি ইউনিট-এর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই ঘটনায় ভুক্তভুগী পরিবারদের দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

ওই শিশুদের মধ্যে তিনজনের সাথে কথা বলেছে বিবিসি, বর্তমানে তাদের পরিস্থিতির কথা জানার চেষ্টা করেছে।

‘ঘর খালি করতে বলেছেন বাড়িওয়ালা‘

এর মধ্যে একজন শিশু পশ্চিম সিংভূমের মঞ্ঝরি ব্লকের বাসিন্দা। বছর সাতেকের শশাঙ্ক (নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) সংক্রমিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়েছে।

শুধু তাই নয়, এই তথ্য জানাজানি হওয়ার পর গত ৩০ অক্টোবর ওই শিশুর পরিবার চাইবাসায় যে ভাড়া বাড়িতে থাকতো, সেটা খালি করার কথা বলেন বাড়ির মালিক।

চিকিৎসার পাশাপাশি কাছের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ার জন্য এই বাড়িতে থাকতো শশাঙ্কের পরিবার। শিশুটির বাবা দশরথ (নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) বলেছেন, ‘বাড়িওয়ালা বললেন আপনার ছেলে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছে। তাই বাড়ি খালি করে দিন।’

‘আমি তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাড়ি খালি করার বিষয়ে অনড় ছিলেন তিনি। এই অবস্থায় প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে মঞ্ঝরি ব্লকে আমার গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি।’

থ্যালাসেমিয়ার কারণে মাসে দু’বার ছেলে শশাঙ্কের রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন পড়ে। এর জন্য এখন তাকে গ্রাম থেকে দু‘বার সদর হাসপাতালে যেতে হবে।

দশরথের কথায়, ‘গ্রামে ফেরার পর ছেলের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা একটা চ্যালেঞ্জ তো বটেই, উন্নত শিক্ষা থেকেও সে এখন বঞ্চিত।’

পেশায় কৃষক এই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল দশরথের পরিবার। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমার জন্য সমস্যা বেড়ে গেছে। প্রথমে থ্যালাসেমিয়ার মতো একটা রোগ, আর এখন ছেলেকে এইচআইভির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে দেখতে হবে।’

চিকিৎসাকর্মীদের আচরণ থেকে পরিবারের সন্দেহ

শশাঙ্কের মতোই হাটগামহারিয়া ব্লকের বাসিন্দা দিব্যা (পরিবর্তিত নাম) সংক্রমিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়েছে। থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্ত এই শিশুর বয়স মাত্র সাত বছর। তার দু‘জন বড় ভাই ও বোন রয়েছে।

মা সুনীতা (নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) তার বাকি দুই সন্তানকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যাতে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি না থাকে। সুনীতা জানিয়েছেন দিব্যার থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ার পর থেকেই মেয়ের রক্ত সঞ্চালনের জন্য তিনি মাসে দু‘বার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সদর হাসপাতালে যান। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রতি মাসে গাড়ির ভাড়ার ব্যবস্থা করা।

এই প্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই পরিবারগুলোর সব সদস্যদের আমাদের ফোন নম্বর দিয়েছি। যখনই তাদের আসা প্রয়োজন, তখনই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।’

সুনীতা অভিযোগ করেছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যখন মেয়েকে সদর হাসপাতালে রক্ত দেয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, তখন দিব্যার প্রতি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবর্তিত আচরণ দেখে তার সন্দেহ হয়।

কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আচরণ দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার মেয়ের কিছু একটা হয়েছে।’

তার সন্দেহের বিষয়ে হাসপাতালের কাছে জানতে চাইলে সুনীতাকে স্পষ্ট উত্তর দেয়ার বদলে জানানো হয়, রিপোর্ট আসার পরেই কিছু বলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ‘৪ অক্টোবর একজন স্বাস্থ্যকর্মী আমাকে বলেছিলেন, আপনার মেয়েকে ভুল রক্ত দেয়া হয়েছে। যার ফলে ও এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গিয়েছে।’

সংক্রমিত রক্ত সঞ্চালনের ফলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়া দিব্যার জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলবে?

মা সুনীতা বলেছেন, ‘শুরুর দিকে এর গুরুত্ব সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি এইডসের ভয়াবহতা বুঝতে পারছি।’

তিনি জানিয়েছেন, দিব্যাকে রক্ত দেয়ার সময় চিকিৎসকরা গ্লাভস পরে তাকে স্পর্শ করছিলেন। আর নার্সরা তাকে স্পর্শ করার বিষয়টা এড়িয়েই যাচ্ছিলেন। এ দেখেই তার সন্দেহ হয়।

মায়ের একমাত্র ভরসা

আমরা যখন ঝিকপানি ব্লকে শ্রেয়ার (পরিবর্তিত নাম) গ্রামে গিয়ে পৌঁছাই, তখন সে পুকুরের ধারে খেলা করছিল। এই গ্রামেরই একটা খড়ের ছাদ আর মাটির দেয়ালঘেরা বাড়িতে মা শ্রদ্ধার (নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) সাথে থাকে শ্রেয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্রদ্ধার জীবনের একমাত্র ভরসা তার সাড়ে ছয় বছরের মেয়ে শ্রেয়া।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শ্রেয়ার রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রতি মাসে ২৫ কিলোমিটার দূরে চাইবাসায় সদর হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। এর জন্য তাদের প্রতিবার গাড়ি বুক করতে হয় তাদের। এর খরচ বহন করাটা মা শ্রদ্ধার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এখন শুধু থ্যালাসেমিয়া নয়, এইডসের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে শ্রেয়াকে। শ্রদ্ধা এইডসের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এইচআইভি নিশ্চয়ই একটা গুরুতর রোগ, তাই হাসপাতালের ভুলের জন্য আমি দুই লাখ টাকার চেক পেয়েছি।’

ঘটনা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

শ্রদ্ধা বা সুনীতা- দুই মায়ের কেউই তাদের সন্তানের এইচআইভি সংক্রমিত হয়ে পড়ার বিষয়ে কিছু জানতেন না। হাসপাতালে ডাক্তার এবং নার্সদের আচরণে পরিবর্তনই তাদের সন্দেহ করতে বাধ্য করে যে তাদের সন্তানরা কোনো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

অক্টোবর মাসের শেষের দিকে শশাঙ্কের এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার পরে স্থানীয় গণমাধ্যম যখন দশরথের সাথে যোগাযোগ করে, তখন এই সন্দেহের বিষয়ে নিশ্চিত হন।

দশরথের কথায়, ‘১৮ অক্টোবর আমার ছেলেকে রক্ত দেয়ার আগে সদর হাসপাতালের ডাক্তার এইচআইভি টেস্ট করেছিলেন। তারপরে ২০ অক্টোবর আমাকে জানানো হয় আমার ছেলে এইচআইভি পজিটিভ। এরপর আমি এবং আমার স্ত্রী একটি এইচআইভি পরীক্ষা করি। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। তখন ডাক্তার বলেন, সংক্রামিত রক্তের কারণে আমার ছেলে এখন এইচআইভি পজিটিভ।‘

দশরথ এই বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমারের কাছে অভিযোগ জানান। এরপর বিষয়টা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে যায়। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট নিজেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।

এই সময় দশরথ খবর পান যে তার ছেলে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে পড়ার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট, বিধায়ক এবং সাংসদ তার সাথে দেখা করতে আসবেন।

চন্দন কুমার তাকে জানান আবাসন, রেশন, শৌচালয় তৈরি করে দেয়ার মতো সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেয়া হবে।

চন্দন কুমারের কথায়, ‘থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত পাঁচজন শিশুর এইচআইভি পজিটিভ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে তাদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

সরকারি সহায়তা নিয়ে পরিবারের ক্ষোভ

দশরথ দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাংসদ এবং বিধায়ক এসে দুই লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে এটাই হয়- দরিদ্র বাচ্চাদের জন্য দুই লাখ টাকা, কিন্তু মন্ত্রীর ছেলে হলে সে কোটি কোটি টাকা পেত।’

তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘একজন দরিদ্র মানুষের জীবনের মূল্য কি মাত্র দুই লাখ টাকা?‘

সরকারের কাছ থেকে কী চান এই প্রশ্নের উত্তরে দশরথ বলেন, ‘সরকার যদি সেবাই করতে চায়, তাহলে আমাদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিক এবং বাচ্চাদের বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাক। দোষ যদি সরকারি হাসপাতালের হয়, তাহলে দায়িত্বও তো সরকারেরই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইরফান আনসারির সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছিল বিবিসি। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিম সিংভূম জেলা থ্যালাসেমিয়া (প্রবণ) জোন। বর্তমানে এখানে ৫৯ জন থ্যালাসেমিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই রোগীদের মাসে দু‘বার রক্তের প্রয়োজন হয়। এর জন্য রোগীদের একটা বড় অংশকে রক্তদাতাদের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়।’

কিভাবে সংক্রমণ?

এই পুরো ঘটনায় প্রথম বড় প্রশ্ন হলো এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত কোথা থেকে এলো? এই বিষয়ে চন্দন কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেছেন, ‘২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই জেলায় মোট ২৫৯ জন দাতা রক্তদান করেছেন। এর মধ্যে ৪৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজন দাতা এইচআইভি পজিটিভ বলে নিশ্চিত করা গেছে। বাকিদের সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে অন্য কোনো দাতা এইচআইভি পজিটিভ হলে তাদের শনাক্ত করা যায়।’

দ্বিতীয় যে বড় প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, এই শিশুদের এইচআইভি সংক্রমিত হয়ে পড়ার জন্য দায়ী কে?

ঝাড়খণ্ডের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশীর মতে, ‘এই মামলায় সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলা রয়েছে, তাই তারাই দোষী।’

ঝাড়খণ্ডের বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব ডা. নেহা অরোরার মতে, বিষয়টা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।

দাতার রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য প্রি-কিট ব্যবহার করা হলে উইন্ডো পিরিয়ড বড় হয় এবং রোগী (এইচআইভি) পজিটিভ কিনা তা দেরিতে জানা যায়। অন্যদিকে, এলিসা বা এনএটি টেস্টের ক্ষেত্রে ভাইরাস দ্রুত ধরা পড়ে। কারণ তারা অ্যান্টিজেনগুলো শনাক্ত করতে পারে। তাই এখন ডোনারদের পরীক্ষার জন্য প্রি-কিট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, চাইবাসাসহ রাজ্যের ন‘টা ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেখানে কাজ চলছে। এই প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, লাইসেন্স ছাড়াই কেন ব্লাড ব্যাংক চলছে?

এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়নের এনওসি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়। না দিলে আমরা কী করে রিনিউ করব? আমরা ফাইলটা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।’

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার লিখিত সুপারিশ না পাঠানো পর্যন্ত কেন্দ্র লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবে না।

অ্যাক্টিভিস্ট অতুল গেরা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের জন্য কাজ করেন। তার অভিযোগ, ‘লাইসেন্স নবায়নের অভাব বাকি থাকার কারণ হলো কমপ্লায়েন্সের অভাব। এই বিষয়গুলোর ওপর নজর না দেয়া রক্তের গুণমানকেও প্রভাবিত করছে। তারই পরিণতি চাইবাসার ঘটনা।’

পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার কথাও তুলে ধরেন তিনি, ‘ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছেন, কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্য পুরো রাজ্যে মাত্র একজন হেমাটোলজিস্ট আছেন।’

সূত্র : বিবিসি