ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

জাতিসঙ্ঘ প্রধান ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইনি উপায়ে এই হামলার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা অর্জনের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস |সংগৃহীত

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তা নিয়েই জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘আজ সকালে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফের সাথে টেলিফোনে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। দিনের শুরুতে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সাথেও কথা বলেছেন।’

ফোনালাপের সময় জাতিসঙ্ঘ প্রধান ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইনি উপায়ে এই হামলার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা অর্জনের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।

ডুজারিক আরো বলেন, ‘তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এমন সংঘর্ষ এড়াতেও জোর দিয়েছেন যার পরিণতি দুঃখজনক হতে পারে।’

মহাসচিব যেকোনো উত্তেজনা প্রশমন প্রচেষ্টার সমর্থনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দেন।

বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিভাগ পর্যটক। নয়াদিল্লির অভিযোগ, হামলার সাথে ইসলামাবাদ জড়িত। পাকিস্তান তা নাকচ করে দিয়েছে।

তবে এরই মধ্যে হামলার জেরে পাকিস্তানের সাথে করা ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

পেহেলগামের হামলার পর ভারত দু’জন সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে, যারা পাকিস্তানি বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু হামলার সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা বারবার অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় এ হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ।