ভারত ও চীনসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের পণ্য আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের অনুমোদন দিয়েছে মেক্সিকো। দেশের শিল্প খাত ও উৎপাদকদের সুরক্ষার জন্য আরোপিত শুল্ক ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে।
মেক্সিকোর সংবাদমাধ্যম এল ইউনিভার্সালের মতে, দেশটি গাড়ির যন্ত্রাংশ, ছোটো গাড়ি, পোশাক, প্লাস্টিক, ইস্পাত, গৃহস্থালীর যন্ত্রপাতি, খেলনা, টেক্সটাইল, আসবাবপত্র, জুতা, চামড়ার পণ্য, কাগজ, পিচবোর্ড, মোটরসাইকেল, অ্যালুমিনিয়াম, ট্রেলার, কাচ, সাবান, সুগন্ধি ও প্রসাধনী পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে।
ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সাথে মেক্সিকোর বাণিজ্য চুক্তি নেই, এই শুল্ক মূলত তাদের ওপরই প্রযোজ্য হবে। মেক্সিকোর সরকার এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে চীন থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। চীনের সাথে তাদের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে, চীন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বলেছে, তারা সব ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধিতা করে এবং মেক্সিকোকে একতরফা ও সুরক্ষাবাদী অবস্থান সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছে।
চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ মেক্সিকো ২০২৪ সালে দেশটি থেকে ১৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। প্রস্তাবিত শুল্কের ফলে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমও দেশের শিল্পের জন্য আরো বেশি সুরক্ষা প্রদান এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চান। তবে মেক্সিকোর অর্থনীতি-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম এল ফিনান্সিয়ারের বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা পর্যালোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মেক্সিকোর শুল্কের ফলে ভক্সওয়াগেন, হুন্দাই, নিসান ও মারুতি সুজুকির মতো বড় ভারতীয় গাড়ি রফতানিকারকদের এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গাড়ির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ শতাংশ হবে। যা ভারতের রফতানিকারকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবের পরে মেক্সিকো ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি রফতানি বাজার।
সূত্র : এনডিটিভি



