পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তা নিয়ে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তা নিয়ে ইস্তাম্বুলে বৈঠক করেছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তবে ‘উন্মুক্ত যুদ্ধ’ শুরু হতে পারে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই আলোচনা রোববারও চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ বন্ধ করতে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহায় যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের মাত্র কয়েকদিন পরই এই আলোচনা শুরু হয়। সীমান্তে সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ নিহত ও আরো শত শত আহত হন।
পূর্ব পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহর থেকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে বিকল্প আছে। যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে তাদের সাথে আমাদের উন্মুক্ত যুদ্ধ শুরু হবে। কিন্তু আমি দেখেছি যে তারা শান্তি চায়।’
ইস্তাম্বুল থেকে আল জাজিরা জানায়, তুরস্কে ‘কারিগরি স্তরের আলোচনা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে স্থায়ী সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে’ বলে আশা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি নাজিব তুরস্কে তার দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে পাকিস্তান তাদের প্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এর আগে, শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, আলোচনায় অবশ্যই ‘আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের দিকে আসা সন্ত্রাসবাদের হুমকির’ সমাধান করতে হবে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবানসহ (টিপিপি) অন্যান্য উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং সামরিক হামলার মাধ্যমে ইসলামাবাদকে তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা



