মিয়ানমারে সমাবেশে সেনাবাহিনীর প্যারাগ্লাইড বোমা হামলা, নিহত ২৪

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া একটি প্রতিবাদ সমাবেশে সেনাবাহিনীর পাঠানো দু’টি প্যারাগ্লাইড বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৭ জন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সাগাইং অঞ্চলে ওই হামলায় দুই ডজন মানুষ নিহত হয়েছে
সাগাইং অঞ্চলে ওই হামলায় দুই ডজন মানুষ নিহত হয়েছে |বিবিসি

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া একটি প্রতিবাদ সমাবেশে সেনাবাহিনীর পাঠানো দু’টি প্যারাগ্লাইড বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৭ জন।

সোমবার সন্ধ্যায় মধ্য মিয়ানমারের চাউং উ শহরে জাতীয় ছুটির দিন উপলক্ষে প্রায় ১০০ জন জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনী আক্রমণ করে।

২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যার ফলে সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবং জাতিগত মিলিশিয়াদের সাথে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে।

দেশের অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সেনাবাহিনী আবারো উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করছে। তারা বিমান হামলা ও ভারী বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।

বিবিসি বার্মিজ সম্প্রতি জানিয়েছে, বিমান ও হেলিকপ্টারের অভাবের মধ্যে জান্তা ক্রমবর্ধমানভাবে প্যারামোটর বেছে নিচ্ছে।

সোমবার যে শহরটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, তা সাগাইং অঞ্চলে অবস্থিত, যা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। এর বেশিরভাগ অংশ সামরিক বা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামে পরিচিত এই দলগুলো স্থানীয় প্রশাসনও পরিচালনা করে। পিডিএফের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবারের সমাবেশের সময় তারা সম্ভাব্য বিমান হামলার তথ্য পেয়েছিলেন।

তারা দ্রুত বিক্ষোভ শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্যারামোটরগুলো প্রত্যাশার চেয়ে আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, সবকিছু সাত মিনিটের মধ্যে ঘটে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে তার পায়ে আঘাত লেগেছে। তবে তার কাছাকাছি থাকা কিছু লোক মারা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে পরবর্তী সময়ে লাশগুলো শনাক্ত করা কঠিন ছিল।

সূত্র : বিবিসি