নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যেসব বিশ্বনেতা

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারত।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অন্তবর্তী সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি শপথ নিচ্ছেন
অন্তবর্তী সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি শপথ নিচ্ছেন |সংগৃহীত

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারত। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এই অভিনন্দন জানান।

কাঠমান্ডুস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, নেপালি সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের ভূমিকা দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও বেসামরিক সরকারের শান্তিপূর্ণ রূপান্তর নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রোববার সুশিলা কার্কিকে অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি বলেন, চীন ও নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নেপালের জনগণ যে উন্নয়নের পথ স্বাধীনভাবে বেছে নিয়েছে, চীন তা শ্রদ্ধা করে। আমরা পাঁচ নীতির ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার, নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে নেপালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।

এছাড়া যুক্তরাজ্যও কার্কির দায়িত্ব গ্রহণকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছে। শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে কাঠমান্ডুস্থ ব্রিটিশ দূতাবাস জানায়, ‌‘সুশিলা কার্কির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ এ সপ্তাহের ঘটনার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে আমরা সামনের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করি এবং জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেপালি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক এক্সবার্তায় পোস্ট করে কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‌‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আরটি অন সুশিলা কার্কিকে শুভেচ্ছা। ভারত নেপালের জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ভারতের পক্ষ থেকে এটি ছিল নেপাল পরিস্থিতিতে প্রথম প্রতিক্রিয়া।

উল্লেখ্য, সুশিলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার রাতে শীতল নিবাসে শপথ নেয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।