কাশ্মিরে প্রক্সি যুদ্ধের পথে ‍তুরস্ক!

তুরস্ক-পাকিস্তান অক্ষ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী উগ্রপন্থীদের উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (বাঁয়ে) ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগান
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (বাঁয়ে) ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগান |সংগৃহীত

কাশ্মির ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগানের পাকিস্তানপন্থী অবস্থানে ভারত-তুরস্ক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কাশ্মিরে তুর্কি আধাসামরিক বাহিনী সাদাত-এর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মরক্কোভিত্তিক বিশ্লেষক ও লেখক আমিন আইয়ুব ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েৎ-এ লেখেন, ভারত-পাকিস্তান সঙ্ঘাতে তুরস্কের আগ্রহ নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে আরো উদ্বেগজনক বিষয় হলো সাদাত-এর মতো তুর্কি গোষ্ঠী এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সক্রিয় নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র।

তিনি জানান, সাদাত-এর সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাপ্রবাহ আঙ্কারার পক্ষ থেকে সচেতনভাবে প্রক্সি ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। এতে রাষ্ট্রীয় নীতি ও আদর্শিক যুদ্ধের সীমারেখা ধ্বংস হয়। একইসাথে এটি অন্য সঙ্ঘাতেও বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, তুরস্ক-পাকিস্তান অক্ষ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী উগ্রপন্থীদের উসকে দিচ্ছে। আমিন আইয়ুব মন্তব্য করেন, ‘পাকিস্তান থেকে তুরস্ক ও লেভান্ট পর্যন্ত আদর্শিকভাবে পরিচালিত অক্ষ গড়ে উঠছে, যা জেরুজালেম থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত উদ্বেগ বাড়াবে।’

ভারতের ক্ষেত্রে সাদাত-এর সক্রিয়তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। এক অপ্রমাণিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে সাদাত-এর এক বৈঠকে কাশ্মির ও ফিলিস্তিনে বিদেশি যোদ্ধা পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।

ওই বৈঠকে কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত ও যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত সৈয়দ গোলাম নবী ফাই বলেন, ‘যদি ইউক্রেনে যোদ্ধারা গিয়ে বীর হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তবে কাশ্মির বা ফিলিস্তিনে স্বেচ্ছাসেবীদের যাওয়ার সুযোগ থাকবে না কেন?’ তিনি আরো প্রশ্ন করেন, ‘ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের যন্ত্রণা নিয়ে বিশ্বশক্তিরা কেন নীরব?’

বৈঠকে পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর ও তৎকালীন সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ তালহা মাহমুদসহ অনেকেই এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।

এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ভারতের জন্য সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। সাদাত-এর মাধ্যমে তুরস্ক প্রক্সি কার্যক্রম শুরু করলে কাশ্মির পরিস্থিতি আরও জটিল ও আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র : দ্য উইক