পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাহিনীর মধ্যে প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকায় আবারো সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পাকিস্তানের সীমান্ত জেলা চামান ও আফগানিস্তানের স্পিন বোলদক অংশে রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া একটি পোস্টে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের সেনাসদস্যরা প্রথমে হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালায়। এতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
এদিকে, স্পিন বোলদাক জেলার একজন প্রেস মুখপাত্র আলী মোহাম্মদ হকমাল বেসামরিক নাগরিকের নিহতের সংখ্যা ১৫ জন বলে জানিয়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জেলা হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছে।
মুজাহিদ দাবি করেছেন, আফগান বাহিনী পাল্টা গুলি চালিয়ে ‘বিপুল সংখ্যক’ পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক জব্দ করেছে। এছাড়াও পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করারও দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, আফগান বাহিনী প্রথমে তাদের সামরিক চৌকি ও সীমান্তবর্তী অন্যান্য এলাকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। সংঘর্ষে তাদের চারজন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছে। তবে রয়টার্স নাম প্রকাশ না করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এতে ছয় পাকিস্তানি সেন্য নিহত হয়েছে। সংঘর্ষ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, তারা আফগান বাহিনীর আক্রমণ ‘কার্যকরভাবে প্রতিহত’ করেছে। এ সময় আফগান বাহিনীর ১৫ থেকে ২০ সদস্য নিহত ও অন্যরা আহত হয়েছে। এছাড়া রাতে উত্তরের কুররাম জেলায়ও তারা আফগান বাহিনীর পৃথক একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা