আফগানিস্তানে যে কারণে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়

সেখানকার ভবনগুলো সাধারণত কাঠ, কাদামাটির ইট বা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে নির্মিত। যেগুলো একেবারেই ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

আফগানিস্তান ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, কারণ এটি এমন একাধিক ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে।

২০২২ সালে পাঁচ দশমিক নয় মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় অন্তত তিন হাজার মানুষ। ওই ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। গত দুই দশকে এটিই ছিল দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ।

যদিও ওই ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার। কিন্তু ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে কারণ এর কেন্দ্র ছিল অগভীর মাত্র ১০ কিলোমিটার বা ছয় মাইল গভীরে।

রোববারের ভূমিকম্পটির কেন্দ্র আরো অগভীর ছিল, মাত্র আট কিলোমিটার বা পাঁচ মাইল গভীরে। এই ভূমিকম্পে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের বাসিন্দারা খুব বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ সেখানকার ভবনগুলো সাধারণত কাঠ, কাদামাটির ইট বা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে নির্মিত। যেগুলো একেবারেই ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

আফগানিস্তানের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির আরেকটি বড় কারণ হলো ভূমিধস। ভূমিধসে ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ারও শঙ্কা দেখা দেয়।

এছাড়া ভূমিকম্পের সময় সড়কপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মী ও সরঞ্জাম দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে বড় ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়।

আদিকে রোববারের এ ভূমিকম্পে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আরো ২ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে। রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) এর তথ্য মতে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত কেবল কুনার প্রদেশেই ৮০০ মানুষের মৃত্যুর কথা নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া সেখানে আরো আড়াই হাজার আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। এদিকে, নাঙ্গারহার প্রদেশে ১২ জন নিহত ও ২৫৫ জন আহত হয়েছে।