কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ

সন্ত্রাসী হামলা, কর্মকর্তাদের পারস্পরিক হুমকিমূলক বিবৃতি এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর আবারো কাশ্মির অঞ্চলকে সংকটের দ্বারপ্রান্তে ফেলেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভারত-পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তান |সংগৃহীত

সন্ত্রাসী হামলা, কর্মকর্তাদের পারস্পরিক হুমকিমূলক বিবৃতি এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর আবারো কাশ্মির অঞ্চলকে সংকটের দ্বারপ্রান্তে ফেলেছে।

বিস্ফোরণ এবং সামরিক বাগাড়ম্বরের এক নতুন ঢেউ আবারো কাশ্মির অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিবেশকে উস্কে দিয়েছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মাত্র ছয় মাস পর সঙ্কটে ফিরে আসার এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সঙ্ঘর্ষের আশঙ্কা আবারো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ১০ নভেম্বর নয়াদিল্লির লাল কেল্লা এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, যাতে ১৫ জন নিহত হন এবং পরের দিন ইসলামাবাদে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ১২ জন নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালের মে মাসের সঙ্ঘর্ষের মতোই একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে।

এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সামরিক বাগাড়ম্বরও উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান ‘পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও যুদ্ধের ময়দানে ভারতকে শিক্ষা দিতে ‘অতীতের চেয়ে ভালো ফলাফলের’ কথা বলেছেন। এই বিবৃতিগুলি এমন এক সময় এসেছে যখন উভয় দেশই একে অপরকে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার অভিযোগ করছে।

উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, যা পাকিস্তান ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এবং দূতাবাসের কার্যক্রমের উপর বিধিনিষেধ সংলাপের পরিবেশকে আরো চাপের মধ্যে ফেলেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ড্রোন যুদ্ধ এবং সাইবার অভিযান বৃদ্ধির ঘটনা ক্রমেই কূটনীতির চেয়ে সামরিক সিদ্ধান্তের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে এবং দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধের চেষ্টাকে দুর্বল করে দিয়েছে।

সূত্র : পার্সটুডে