সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এসবকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে পাক তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, খান সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগারে খান মারা গেছেন বলে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইমরান খানের বোন আলিমা খানুম এবং নওরীন নিয়াজি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেছেন, সরকার তাদেরকে এবং খানে আইনজীবীদের কারাগারে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। স্বজনরা অভিযোগ করেছে, খানকে কারাগারে নির্জন কুঠুরিতে রাখা হয়েছে। তাকে মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।
কিন্তু সরকার ও জেল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই, তিনি সুস্থই আছেন। তার কোনো সমস্যাই নেই। তিনি প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ট্রেডমিলে দৌড়ান।’
মন্ত্রী অভিযোগ করেন, খানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
৭৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন। তিনি ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদীয় ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খান প্রকাশ্যে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনা জেনারেল এবং বিচার বিভাগের সমালোচনা করেন। তিনি সেনাবাহিনীকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের সাথে যোগসাজশের জন্য দোষারোপ করেন; যাতে তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা যায় এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার দলের জয় প্রত্যাখ্যান করা হয়। সেনাবাহিনী ও তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : আরব নিউজ