চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের ২ শহর থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা বিদ্রোহীদের

চুক্তির অধীনে তারা মান্দালয় অঞ্চলের রুবি খনির কেন্দ্র মোগোক ও শান রাজ্যের উত্তর অংশের পার্শ্ববর্তী শহর মোমেইক থেকে সরে আসবে। তবে তারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়নি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির উত্তরে কয়েক মাস ধরে চলমান তীব্র সংঘর্ষ বন্ধ করতে তারা জান্তা সরকারের সাথে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ঘোষণা করেছে, তারা মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে কুনমিংয়ে চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের আলোচনার পর জান্তা সরকারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

টিএনএলএ জানিয়েছে, চুক্তির অধীনে তারা মান্দালয় অঞ্চলের রুবি খনির কেন্দ্র মোগোক ও শান রাজ্যের উত্তর অংশের পার্শ্ববর্তী শহর মোমেইক থেকে সরে আসবে। তবে তারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়নি। বিদ্রোহী বাহিনী ও জান্তা বাহিনী উভয়ই বুধবার থেকে অগ্রসর হওয়া বন্ধ রাখবে।

দলটি আরো জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী বিমান হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে। জান্তা বাহিনী এখনো চুক্তির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের একটি অংশ টিএনএলএ। জোটের অন্য সদস্যরা হলো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি। তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে আসছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর গঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথেও জড়িত তারা।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে জোটটি উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম মিয়ানমারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল নিয়েছে ও নিয়ন্ত্রণ করছে। টিএনএলএ একাই ১২টি শহর দখল করেছে।

চলতি বছরের শুরুতে চীনের মধ্যস্থতায় ধারাবাহিক যুদ্ধবিরতির পর তাদের অগ্রগতি ধীর হয়ে যায়। ফলে সেনাবাহিনী এপ্রিলে লাশিও শহর, জুলাইয়ে নওংঘকিও, অক্টোবরে কিয়াউকমে ও সিপাওসহ প্রধান শহরগুলো পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

সূত্র : আল জাজিরা