জাতিসঙ্ঘ আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের এই স্বীকৃতিটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি। অনেক দেরিতে হলেও এখন সেই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আমরা বারবার সতর্ক করেছি যে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে তারা গাজাবাসীকে অনাহারে রাখছে। তাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও পানি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করছে। এসবের মাধ্যমে তারা গাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা চালাচ্ছে। আজ জাতিসঙ্ঘের এই স্বীকৃতি গোটা বিশ্বকে জানাবে যে আমরা কতটা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
তারা আরো বলেছে, এই প্রমাণিত বাস্তবতাকে বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দখলদার বাহিনী। তারা মিথ্যা দাবি করছে যে গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। এটি তাদের অপরাধপ্রবণতার বহির্প্রকাশ। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শিশু, নারী ও অসুস্থদের অভুক্ত রেখে হত্যা করে আর মিথ্যা কথা বলে। এর মধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সকল আইন সুস্পষ্টভাবে অমান্য করছে।
প্রতিরোধ আন্দোলন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করা, গাজাবাসীকে অনাহারে রেখে এবং জীবনের সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে ধ্বংসের মুখে ঠেলা দেয়া থেকে গাজার দুই মিলিয়নের বেশি মানুষকে বাঁচানো গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
তারা বলছে, বর্তমানে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে-
যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং অবরোধ তুলে নিতে জাতিসঙ্ঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ।
খাদ্য, ওষুধ, পানি এবং জ্বালানির জরুরি ও টেকসই প্রবেশের জন্য ক্রসিংগুলো অবাধে খোলার ব্যবস্থা।
যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে ব্যবহারের জন্য দখলদারিত্বকে আইনত জবাবদিহি করা। কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা।
সূত্র : আল জাজিরা