পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্যা, সরিয়ে নেয়া হলো ১৯ হাজার মানুষকে

পাকিস্তানের রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, প্রদেশের একাধিক বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শতদ্রু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শনিবার (২৩ আগস্ট) নদীর তীরবর্তী কমপক্ষে ১৯ হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাবের গন্ডা সিংওয়ালা এলাকার বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে সংকটজনক।

রোববার (২৪ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) আজ রোববার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া ও জরুরি অভিযান শুরু করেছে।

পাঞ্জাবের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলা প্রশাসন নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, প্রদেশের একাধিক বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, কাসুর, ওকারা, পাকপত্তন, বাহাওয়ালনগর ও ভেহারী জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিন্ধু, চেনাব, রবি, শতদ্রু ও ঝিলাম নদীর সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৯ হাজার ৯৪৭ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পিডিএমএ সদর দফতরে এক জরুরি বৈঠকের পর প্রাদেশিক মন্ত্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চেয়ারম্যান খাজা সালমান রফিক বলেন, ‘শতদ্রু ও রবি নদীর তলদেশে বসতি স্থাপনকারী জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে নেয়া আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সব সম্পদ ব্যবহার করা হচ্ছে।’

পাঞ্জাবজুড়ে নদীর পরিস্থিতি নিয়ে মিশ্র চিত্র দেখি যাচ্ছে। তারবেলা ও কালাবাগে সিন্ধু নদীর পানি বাড়ছে, চেনাব ও রবি নদীবর্তমানে স্বাভাবিক সীমার মধ্যে রয়েছে। ডেরা গাজি খান অঞ্চলের পাহাড়ি ঢল আপাতত স্বাভাবিক থাকলেও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি শতদ্রু নদীতেই। সেখানকার জালালপুর পীরওয়ালার মতো এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে ব্যাপকভাবে। মুলতানের ডেপুটি কমিশনার ওয়াসিম হামিদ সিন্ধু বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাসিন্দাদের স্থানান্তর শুরু করেছি। মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

এই জরুরি অভিযানের মধ্যে যুক্ত হয়েছে নতুন আবহাওয়ার সতর্কতা। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ‘অষ্টম ধাপের’ পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে পাঞ্জাবের উচ্চ অঞ্চল এবং দেশের অন্যান্য অংশে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।