ফের ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা? গতকালই দেশটির রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্ট এই নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার ঘণ্টা কয়েক পরই শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষিপ্ত জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি প্রস্তুত (আরো শুল্ক চাপানোর জন্য)।’ তবে এর থেকে বেশি কিছু তিনি বলেননি।
ট্রাম্পের এই সংক্ষিপ্ত জবাবের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই স্কট বেসেন্ট ভারতের নাম না নিয়েই বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে যেসব দেশ তেল কিনবে, তাদের ওপর আরো শুল্ক চাপালে রাশিয়ার অর্থনীতি ধসে যাবে। এতে রাশিয়া আরো চাপে পড়বে। এর জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে বলেই এই ‘নিষেধাজ্ঞামূলক শুল্ক’ চাপানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তি, ভারত রশিয়া থেকে তেল কিনছে বলেই পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ পাচ্ছেন।
এই আবহে গতকাল বেসেন্ট বলেন, ‘আমরা এখন একটা প্রতিযোগিতায় আছি- ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী কতক্ষণ টিকতে পারবে বনাম রাশিয়ার অর্থনীতি কতক্ষণ টিকতে পারবে? যদি আমেরিকা ও ইইউ এক যোগে রাশিয়ান তেল কেনা দেশগুলোর ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা ও পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাহলে রাশিয়ার অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে। তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার টেবিলে ফিরে আসবেন।’
এদিকে বেসেন্ট আরো বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের ইউরোপীয় পার্টনারদের সেই পথ অনুসরণ করা উচিত।’
গতকাল তিনি কোনো দেশের নাম না করলেও বর্তমানে রাশিয়া থেকে সব থেকে বেশি তেল কেনা দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারত রয়েছে। যদিও তালিকায় চীন ভারতের ওপরে; তবে এর আগে চীনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকা। আর বেসেন্টের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্পের সেই সংক্ষিপ্ত জবাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস