এআই দিয়ে তৈরি করা একটি ভিডিও ঘিরে ফের উত্তাল ভারতীয় রাজনীতি। কংগ্রেসের এক নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চা-ওয়ালার বেশে দেখা যাচ্ছে! ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের জন্য যে কাজ করছেন, সেটা সহ্য হচ্ছে না কংগ্রেসের।
কংগ্রেস নেত্রী রাগিনী নায়কের শেয়ার করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নীল কোট ও কালো প্যান্ট পরে লাল কার্পেট দিয়ে চায়ের কেটলি হাতে হেঁটে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ভিডিওতে মোদির মতো দেখতে ওই ব্যক্তিতে বলতে শোনা যায়, ‘চা বলো, চা...।’
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভে সরব হয় বিজেপি। সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার নোংরা রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেস।
বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘রেণুকা চৌধুরীর মন্তব্যের পর এবার রাগিনী নায়কের পোস্ট- বারবারই প্রধানমন্ত্রীকে তার ‘চা-ওয়ালা’ অতীত নিয়ে কটাক্ষ করছে কংগ্রেস। একজন পরিশ্রমী, সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা নেতা এটাই তাদের সহ্য হয় না।’ পুনাওয়ালা এও দাবি করেন, কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ১৫০-র বেশি বার প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে এবং আগে তার মাকেও নিশানা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে বিহার কংগ্রেসের শেয়ার করা একটি এআই ভিডিওতে মোদির মৃত মায়ের কণ্ঠ নকল করে তাকে সমালোচনা করতে দেখানো হয়েছিল। সেই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয় এবং পাটনা হাইকোর্ট তা মুছে ফেলতে নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাগিনী নায়কের সাম্প্রতিক পোস্ট কংগ্রেসের অতীত ভুল থেকে শিক্ষা না নেয়ারই উদাহরণ। ‘চা-ওয়ালা’ ব্যঙ্গ প্রথম সামনে আসে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে। সেই সময় কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য ছিল, মোদি ‘কখনো প্রধানমন্ত্রী হবেন না, বরং কংগ্রেসের মঞ্চে চা পরিবেশন করতে পারেন।’ পরে সেই মন্তব্য বিজেপির ‘চা পে চর্চা’ প্রচারের অস্ত্র হয়ে ওঠে- যা মোদির সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে সংযোগের গল্পকে আরো জোরালো করে।
২০১৭ সালেও যুব কংগ্রেসের একটি মিম একই কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয় এবং দলকে তা দ্রুত তুলে নিতে হয়। মোদি বহুবার বলেছেন, তিনি কোনোদিন তার ‘চা-ওয়ালা’ অতীতকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে ব্যবহার করেননি। তবে কংগ্রেসের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই তাকে এই পরিচয় তুলে ধরতে বাধ্য করেছে।
সূত্র : দ্য ওয়াল



