যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা উচ্চ শুল্ক অমান্য করে আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াতে চলেছে ভারত। দেশটির ব্যবসায়ীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য বন্ধ করতে এবং মস্কোকে ইউক্রেনের সাথে শান্তি চুক্তি করতে জোর দেয়ার জন্য এই শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল সরবরাহের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে উঠে ভারত। কারণ ভারতের পরিশোধনকারীরা মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন।
কিন্তু রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শাস্তি হিসেবে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। যা গত বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
ভারত বলছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে অতিরিক্ত শুল্ক সমস্যার সমাধান করতে চায়। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকসহ অন্যান্য কূটনৈতিক সফরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভারত কম দামে কেনা রুশ জ্বালানি তেল থেকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো রাশিয়া থেকে শত শত কোটি ডলারের পণ্য কিনছে।
ভারতে তেল বিক্রির সাথে জড়িত তিনটি বাণিজ্যিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় পরিশোধকরা সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি আগস্টের স্তর থেকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়াতে পারে, যা দৈনিক দেড় থেকে তিন লাখ ব্যারেলের সমান।
ভোরটেক্সা বিশ্লেষকদের তথ্য অনুসারে, আগস্টের প্রথম ২০ দিনে ভারত প্রতিদিন রাশিয়া থেকে ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা জুলাই থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভারত বর্তমানে রুশ জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দেশটির মোট চাহিদার ৪০ শতাংশই পূরণ হয় রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মাধ্যমে। এরপরেই রয়েছে চীন ও তুরস্ক।
সূত্র : রয়টার্স