পাকিস্তানের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মধ্যরাতে অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় থেকে বিশাল শিলা ভেঙে পড়ার পর নয়জনের প্রাণহানি এবং বেশকিছু সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উদ্ধারকারী ও গ্রামবাসীরা তাদের মোবাইল ফোনের আলোয় কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ খুঁড়ে জীবতদের বের করে আনেন।
এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিতদের সন্ধানে তারা হাতুড়ি, বেলচা এবং অনেক ক্ষেত্রে খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে অবরুদ্ধ পথ দিয়ে তাদের খুঁজে বের করেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই, সোমবার ডালৌরি গ্রামে বৃষ্টি ও শিল পড়ার পর প্রবল স্রোত বয়ে গেলে কমপক্ষে ১৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়, এতে নয়জনের প্রাণহানি এবং অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন প্রায় ২০ জন গ্রামবাসী। খবর এএফপির।
৪৬ বছর বয়সী স্থানীয় শ্রমিক লাল খান বলেন, ‘পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ আসে এবং তারপর আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাহাড়ের সাথে মেঘ ধাক্কা লেগে পানির এক বিরাট ঢেউ নেমে আসে।’
কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণে আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাহাড়ি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর ডালৌরির এই প্রবল বৃষ্টি হলো।
বৃহস্পতিবার থেকে পাকিস্তানের উত্তরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যায় পুরো গ্রাম ভেসে গেছে এবং এতে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রায় ২০০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আগামী দিনে নতুন করে আকস্মিক বন্যার সতর্কবার্তা দিয়েছে।
লাল খান জানান, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে তিনি তার প্রতিবেশীর হাত বেরিয়ে আসতে দেখেন। উদ্ধারকারীরা পরে সেখান থেকে তার ও তার চার সন্তানের লাশ উদ্ধার করে।