ভারতের ওয়াকফ সংশোধনী আইন পুরোপুরি স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে নতুন আইনটির কয়েকটি ধারা আপাতত স্থগিত রেখেছে।
সংসদের দুই কক্ষে বিতর্কের পরে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার এই সংশোধিত আইনটি পাশ হয় এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাতে এ বছরেরই ৫ এপ্রিল সই করেন। ওই আইনটি স্থগিত করার জন্য প্রায় ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সব মামলাগুলো মিলিয়ে একটিই মামলা হয় ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহর বেঞ্চে।
ওয়াকফ হিসেবে কোনো সম্পত্তি দান করতে হলে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম পালনের যে ধারা আনা হয়েছিল সংশোধিত আইনে, তার ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেঞ্চ। বিচারপতিরা বলেছেন, রাজ্য সরকারগুলো যখন সংশোধিত আইন অনুযায়ী রুল জারি করবে, তখনই এই প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া যেতে পরে।
কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলোতে সর্বোচ্চ তিনজন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হিসেবে অমুসলিম কোনো সদস্যকে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে যে ধারা রয়েছে সংশোধিত আইনটিতে, সেই ধারাটি অবশ্য স্থগিত করে নিয় সুপ্রিম কোর্ট।
তবে যতদূর সম্ভব একজন মুসলিমকেই এই পদে নিয়োগ করার চেষ্টা করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
এতদিন জেলাশাসক কোনো জমি বা সম্পত্তি জরিপ করে তা ওয়াকফের কিনা, বলার অধিকারী ছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সেই অধিকার আপাতত জেলাশাসকদের হাতে দেয়া হবে না।
সূত্র : বিবিসি