প্রকাশ্যে এলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই প্রথম জনসম্মুখে এসে কেপি শর্মা বলেছেন, বর্তমান সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাবেন না তিনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি
নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি |সংগৃহীত

চলতি মাসে নেপালে জেনারেশন জি-এর বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বালুওয়াতার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর এই প্রথম জনসম্মুখে এসে তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাবেন না তিনি।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভক্তপুরের গুন্ডুতে তার রাজনৈতিক দলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেপি শর্মা বলেছেন, ‘আপনারা কি ভেবেছেন, এই ভিত্তিহীন সরকারের হাতে দেশ তুলে দিয়ে আমরা পালিয়ে যাব?’

তিনি বলেন, ‘আমরাই এই দেশকে গড়ব। আমরা এই দেশে সাংবিধানিক মূলধারায় ফিরিয়ে আনব। আমরা এই দেশে শান্তি ও সুশাসন ফিরিয়ে আনব।‘

নেপালি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় নয় দিন থাকার পর, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর গুন্ডুতে একটি ভাড়া বাড়িতে চলে যান। গত ৯ সেপ্টেম্বর ভক্তপুরের বালকোটে তার ব্যক্তিগত বাড়িটি বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দেয়।

কেপি শর্মা বর্তমান সরকারকে জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে নয়, বরং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত বলে অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন না। সুশীলা কার্কি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন যে তিনি সেই সময়ে প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে কী নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার রেকর্ডিং প্রকাশ করুন। "সাহসের সাথে এগুলি প্রকাশ করুন। আমি সরকারি কর্মচারীদের যে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, সেই নির্দেশাবলী জনসমক্ষে প্রকাশ করুন।"

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে নয়, বরং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত। তার দাবি, তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন না। সুশীলা কার্কি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, সে সময়ে প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেয়া তার নির্দেশনা যেন প্রকাশ করা হয়।