খালিস্তানি নেতা হত্যার প্রসঙ্গ এড়িয়ে ভারতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে কানাডা

শীতল সম্পর্ক কাটিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো মজবুত করার বিষয়ে একমত হলো ভারত ও কানাডা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। |হিন্দুস্তান টাইমস

শীতল সম্পর্ক কাটিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো মজবুত করার বিষয়ে একমত হলো ভারত ও কানাডা। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মধ্যে বৈঠক হয়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ খাতে গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ওই বৈঠকেই নির্ধারিত হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের অংকটা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৫ লাখ কোটি টাকা) নিয়ে যাওয়া হবে।

মোদি ও কার্নির দ্বিতীয় সাক্ষাৎ

সেই সাক্ষাতের পর মোদি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নির সাথে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এটি মোদি এবং কার্নির দ্বিতীয় সাক্ষাৎ ছিল। এর আগে গত জুনে কানাডার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। সেই রেশ ধরে মোদি বলেন, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় আমাদের পূর্ববর্তী বৈঠকের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তাতে বাহবা দেয়া হয়েছে। আগামী মাসগুলোতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, শক্তি এবং শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।

এখন ভারত ও কানাডার বাণিজ্য কত?

তিনি বলেন, ভারত ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কানাডিয়ান পেনশন ফান্ডগুলোও ভারতীয় কোম্পানিগুলোতে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২৪ সালে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অংক অতিক্রম করেছে। ভারত সেই বছর কানাডার সপ্তম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল। মোদি বলেন, উভয় দেশ প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ খাতে গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এবং নিকট ভবিষ্যতে আবারো দেখা করতে সম্মত হয়েছে।

খলিস্তানি-পর্ব অতীত?

আর মোদি ও কার্নির সেই বৈঠকের পরে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, শৈত্য কাটিয়ে ফের ট্র্যাকে ফিরছে ভারত ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়েছিল খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর পরে। সেই ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তৎকালীন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার জেরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস