ভারতের পাঞ্জাবের অসংখ্য মানুষ ভয়াবহ বন্যার শিকার। এতে এখানকার অনেকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির আলেমসমাজ। যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একাংশের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন্যার্তদের সহায়তায় তিনি অন্তত ৩০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে পাঞ্জাবে গিয়েছেন। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি থেকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রওনা হন মাওলানা মাহমুদ মাদানি।

বুধবার মাওলানা মাদানির নেতৃত্বাধীন এই টিম আলাদা হয়ে পৌঁছে যায় পাঞ্জাবের সুলতানপুর লোদি, কান্দুরবালা, আনজালা, গুরুদাসপুর, ফিরোজপুর, লুধিয়ানাসহ আরো কয়েকটি দুর্গত এলাকায়। টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন হরিয়ানার জমিয়ত প্রধান মাওলানা ইয়াহিয়া করিমিও।
মাওলানা মাদানি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে বলেন, আমরা আল্লাহকে খুশি করতে এই সেবায় এগিয়ে এসেছি। আমরা তাঁর কাছ থেকে ও তাঁর প্রিয় নবী মোহাম্মদ সা:-এর কাছ থেকেই মানবতার সেবার মহান শিক্ষা লাভ করেছি।
তিনি আরো বলেন, শিখরা আমাদের ভাইয়ের সমান। তারাও বিভিন্ন সময় মানবিক মদদে এগিয়ে এসেছেন। আমরা বিশ্বাস করি- আল্লাহ তাদের মদদ করেন যারা অপরের মদদে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
মাওলানা মাদানির মতে- সমগ্র বিশ্বই আল্লাহর পরিবারের মতো। আর সেই ব্যক্তি উত্তম যিনি অপরের মদদে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মানুষ সে যেকোনো ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীর হোক না কেন, বিপদে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়ানো সবারই দায়িত্ব।’
পাঞ্জাবের দুস্থ শিখ পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ায় স্থানীয় শিখ নেতারা জমিয়তের প্রশংসা করছেন। পাঞ্জাবের কয়েকজন মন্ত্রীও জমিয়তের এই ত্রাণ পৌঁছানোর সময় উপস্থিত ছিলেন। নেতারা বলেছেন- জমিয়ত মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে।

এই বন্যায় শুধু জমিয়তের এই ত্রাণ সহায়তাই নয়; বরং স্থানীয় মুসলিমরাও নানাভাবে বন্যার্তদের সাহায্যে ভূমিকা রাখছেন। সেখানকার বহু মসজিদ ও মাদরাসাও খুলে দেয়া হয়েছে বন্যার্ত পরিবারদের আশ্রয় দেয়ার জন্য।