সংসদ ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নিলেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মোকাবেলার জন্য গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভূমজাইথাই পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী অনুতিন চার্নভিরাকুল
ভূমজাইথাই পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী অনুতিন চার্নভিরাকুল |সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার দল জানিয়েছে, বৃহত্তম বিরোধী দল দেশটির নেতৃত্বের জন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সমর্থন করার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মোকাবেলার জন্য গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর ফলে দেশটির শীর্ষ কার্যালয়ে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো তাকে প্রতিস্থাপনের জন্য লড়াই শুরু করে।

সিনাওয়াত্রার ফিউ থাই দল এখনো তত্ত্বাবধায়ক পদে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা বিরোধী পিপলস পার্টিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাদের নিজস্ব নতুন প্রার্থীকে সমর্থনের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু পিপলস পার্টি রক্ষণশীল টাইকুন আনুতিন চার্নভিরাকুলের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে।

কিছুক্ষণ পরেই, ফিউ থাই মহাসচিব সোরাওং থিয়েনথং এএফপিকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ’সংসদ ভেঙে দেয়ার ডিক্রি জমা দিয়েছেন’।

থাই সংবিধান অনুসারে, রাজা যদি সংসদ ভেঙে দেয়ার অনুমোদন দেন, তাহলে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।

ফিউ থাই সিনাওয়াত্রা পরিবারের বর্তমান নির্বাচনী বাহন। যারা দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রপন্থী, সামরিক অভিজাতদের সাথে লড়াই করে আসছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং তারা ক্ষমতার ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে লড়াই করছে।

পিপলস পার্টি তার ১৪৩ সদস্যের সংসদীয় ব্লককে আনুতিন চার্নভিরাকুলকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি এর আগে উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তিনি শীর্ষ পদে আসীন হবেন কি-না তা স্পষ্ট নয়।

সূত্র : বাসস