দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান প্রবেশের ঘটনায় সিওল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুই দেশের প্রতিনিধিদের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সিউল থেকে এএফপি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত চীন ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক নীতি-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক লি কুয়াং-সুক ‘কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিমানের কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিতে থাকবে।’
এর আগে, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, চীন ও রাশিয়ার অনুপ্রবেশের পর তারা ‘যেকোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে’।
বিমানগুলো সিউলের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশের আগেই শনাক্ত করা হয়েছিল। এ এলাকা মূল আকাশসীমা নয়, তবে নিরাপত্তার কারণে দেশগুলো এখানে বিমান নজরদারি চালায়।
পরে বেইজিং জানায়, ‘বার্ষিক সহযোগিতা পরিকল্পনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা রাশিয়ার সাথে যৌথ মহড়া করেছে। মস্কোও জানায়, এটি নিয়মিত অনুশীলন ছিল। যা আট ঘণ্টা ধরে চলে এবং এ সময় কিছু বিদেশী যুদ্ধবিমান রুশ ও চীনা বিমানের পিছু নিয়েছিল।
২০১৯ সাল থেকে চীন ও রাশিয়া যৌথ মহড়ার কথা বলে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নিয়মিতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সামরিক বিমান উড়িয়ে আসছে।
গত বছর নভেম্বরে পাঁচটি চীনা ও ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলের ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়ায় সিউল দ্রুত তাদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল। ২০২৩ সালের জুন ও ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের মে ও নভেম্বরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
সূত্র : বাসস



