থাইল্যান্ডের সদ্য অপসারিত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বুধবার (২২ অক্টোবর) তার বাবা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রতিষ্ঠিত দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। যা ওই পরিবারের কয়েক দশক ধরে চলমান রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্রের সম্ভাব্য অবসানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্যাংকক থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মোকাবেলায় নীতিগত লঙ্ঘনের অভিযোগে আগস্ট মাসে আদালত ৩৯ বছর বয়সী পেতংতার্নকে বরখাস্ত করে। তার আগে, এক বছরেরও কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সিনাওয়াত্রা পরিবার গত দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডের সামরিকপন্থী, রাজতন্ত্রপন্থী অভিজাতদের প্রধান শত্রু। যারা তাদের জনপ্রিয় রাজনীতির ধারাকে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। কিন্তু সিনাওয়াত্রা পরিবার একাধিক আইনি ও রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৬ বছর বয়সী থাকসিনের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতির জন্য চলতি বছর কারাদণ্ডের সাজা।
বুধবার এক বিবৃতিতে পেতংতার্নের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে ফিউ থাই পার্টি। তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে দল ‘সম্পূর্ণ সংস্কার’ করতে পারবে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমার পদত্যাগ দলটিকে আরো উন্নত করার সুযোগ দেবে যাতে আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারি।’
তিনি আরো বলেন, তিনি দলের সদস্য থাকবেন এবং থাইল্যান্ডের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় নেতা হিসেবে তার পদত্যাগ থাই রাজনীতিতে পরিবারের আধিপত্যের অবসান ঘটাতে পারে, যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে সিনাওয়াত্রারা এখনো ফিউ থাইয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আছে।
সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ইউত্তাপর্ন ইসারাচাই এএফপিকে বলেন, ‘কে ফেউ থাইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে তা বিবেচ্য নয়, এটি সর্বদা গোপনে পরিবারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, আদালত তাকে পদ থেকে অপসারণের পর মূলত দলের আইনি চ্যালেঞ্জ থেকে রক্ষা করার জন্যই তার এই পদত্যাগ।
সূত্র : বাসস



