গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শিশু অঙ্গহানির শিকার

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চার হাজারের মতো অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলি হামলায় একটি পা হারানো ৯ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু মিরাল আল বাবলি
ইসরাইলি হামলায় একটি পা হারানো ৯ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু মিরাল আল বাবলি |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটি বিশ্বে জনসংখ্যাপ্রতি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অঙ্গহানির শিকার হওয়া শিশুর স্থান হয়ে উঠেছে। জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চার হাজারের মতো অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেন, ‘শিশুদের ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা কেবল শারীরিক আঘাত ও ক্ষুধার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিশুদের ক্ষত গভীর, যা দেখা যায় না। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, আগ্রাসন, ভয়। অনেকেই ভিক্ষা বা শিশুশ্রমে বাধ্য হচ্ছে, তারা তাদের শৈশব হারিয়ে ফেলছে।’

তিনি আরো বলেন, এটা যত বেশি সময় ধরে চলবে, শিশুদের চলমান ও গভীর মানসিক আঘাত প্রজন্ম ধরে বয়ে বেড়াবে। অন্তত শিশুদের স্বার্থে হলেও গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারী কমিশন সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে ৬৫ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর