ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আরো এক পণবন্দীর লাশ ফেরত দিয়েছে ইসরাইলকে। এদিকে গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিরা পর্যাপ্ত আশ্রয়, খাদ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ছাড়াই আসন্ন শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি ঘোষণা করেছে, তারা আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির মাধ্যমে একজন ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ ফেরত দিয়েছে।
পরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে গাজায় এখন ছয়জন পণবন্দীর লাশ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে লাশ ফেরত দেয়া একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সব লাশ হস্তান্তর না করায় চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
কিন্তু হামাস বলছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজারের প্রবেশের ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার ফেরত দেয়া লাশটি পূর্ব গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ধ্বংসস্তূপের মধ্য চার দিন খনন করার পর উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাটি মাসের পর মাস ধরে ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। মিসরের বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছিল।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী মধ্য গাজায় দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, তারা ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থানের কাছে যুদ্ধবিরতির হলুদ রেখা অতিক্রম করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সূত্রে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে গাজার মধ্যাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের সময় আরো একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা



