ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নিষেধাজ্ঞার নিশানা হয়েছেন ইরানের তেল বিক্রি ও অবৈধ তহবিল স্থানান্তরের সাথে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। যা দেশটির সামরিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) নিশ্চিত করেছে, তারা হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত এক ডজনেরও বেশি ইরানি ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ওএফএসি জানিয়েছে, যাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, তারা ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুবিধার্থে তহবিল স্থানান্তরে সাহায্য করেছিল। কিছু অর্থ ইরানের তেল বিক্রি থেকেও এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইরানের ‘ছায়া ব্যাংকিং’ নেটওয়ার্কগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে অবৈধ আর্থিক সুবিধা প্রদানকারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার অপব্যবহার করে এবং বিদেশী ফ্রন্ট কোম্পানি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া হয়।
মার্কিন সরকারের অভিযোগ, ইরানি নাগরিক আলিরেজা দেরাখশান ও আরাশ এস্তাকি আলিভান্দ ইরানের সরকারের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা উভয়ই নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা এবং লক্ষ্যবস্তু করা অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যেকোনো সম্পদের ওপর তাদের অধিকার হারাবে। মার্কিন কোম্পানি ও নাগরিকদেরও তাদের সাথে ব্যবসা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের তেল রফতানি ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে চান। তার এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তেহরান এখনো এই পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সূত্র : আল জাজিরা