লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় শনিবার (১ নভেম্বর) কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈরুত থেকে এএফপি জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলা অব্যাহত থাকায় হিজবুল্লাহর সাথে প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরের দুই পক্ষের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এরপরও ইসরাইল এখন পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে এবং নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে। তেল আবিবের দাবি, এসব হামলা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নাবাতিয়েহ জেলায় ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা (এনএনএ) জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসরাইলি বাহিনী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এরপরই লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরাইলের সাথে আলোচনার আহ্বান জানান। তবে তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনার আহ্বানের জবাবে ইসরাইল লেবাননে হামলা বাড়িয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পরই হিজবুল্লাহ ইসরাইলে হামলা শুরু করে। প্রায় এক বছর ধরে সেই সংঘর্ষ চলে। এরপর দুই মাসের সরাসরি যুদ্ধ শেষে গত বছর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
ইসরাইলবিরোধী এই সংগঠনটি যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে এখনো আর্থিকভাবে শক্তিশালী ও সশস্ত্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য লেবানন সরকারকে চাপ দিচ্ছে। তবে হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা বরাবরই এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে।
সূত্র : বাসস



