গ্রেটা থুনবার্গসহ ফ্লোটিলার অন্য অভিযাত্রীদের গ্রিসে পাঠাল ইসরাইল

গ্রিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ফেরত পাঠানো কর্মীদের মধ্যে ১৬১ জন সোমবার (৬ অক্টোবর) একটি ফ্লাইটে অ্যাথেন্সে পৌঁছেছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
গ্রেটা থুনবার্গ
গ্রেটা থুনবার্গ |সংগৃহীত

ইসরাইলের সেনাবাহিনী হাতে আটক হওয়া সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আরো ১৬০ জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা করেছে, তারা ফ্লোটিলার ১৭১ জন কর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা মোট ৩৪১ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে।

ইসরাইলের অবরোধ ভেঙে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যেতে চেয়েছিলেন এসব মানবাধিকারকর্মীরা। কিন্তু গত সপ্তাহে তাদের নৌবহরটিকে বাধা দেয় ইসরাইলি বাহিনী। তাদের আটক করে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গ্রিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ফেরত পাঠানো কর্মীদের মধ্যে ১৬১ জন সোমবার (৬ অক্টোবর) একটি ফ্লাইটে অ্যাথেন্সে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন গ্রিক নাগরিক এবং বাকি ১৩৪ জন অন্যান্য দেশের নাগরিক।

গ্রেটা থুনবার্গ গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কথা উল্লেখ করে অ্যাথেন্স বিমানবন্দরে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখানে গণহত্যা চলছে। আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এমনকি তারা সংঘটিত হওয়া সবচেয়ে খারাপ যুদ্ধাপরাধ রোধ করতেও সক্ষম নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল পদক্ষেপ নেয়া, যখন আমাদের সরকারগুলো তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’

২২ বছর বয়সী গ্রেটাকে আটক অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনী নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তুরস্কের সাংবাদিক ও সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রী এরসিন সেলিক এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, গ্রেটা থুনবার্গকে ‘মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল’ এবং ‘ইসরাইলি পতাকায় চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়েছিল’।

এদিকে, স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ইসরাইলের ফেরত পাঠানো ১০ জন মানবাধিকারকর্মী পৌঁছেছেন। এর মধ্যে একজন তাদের নাগরিক এবং বাকি নয়জন নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

সূত্র : আল জাজিরা