লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) উপকূলীয় শহর সিডনের উপকণ্ঠে আইন আল-হিলওয়েহ শরণার্থী শিবিরের একটি মসজিদের পার্কিংয়ে ড্রোন হামলায় একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ হামলায় কমপক্ষে আরো চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আরো আহত ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
ইসরাইল দাবি করেছে, তারা শরণার্থী শিবিরের একটি প্রশিক্ষণ প্রাঙ্গণে কর্মরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস ইসরাইলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে একে ‘বানোয়াট’ বলে অভিহিত করেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন জোর দিয়ে বলেছে, লেবাননের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই।
এর আগে, মঙ্গলবারের শুরুতে লেবানন জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে অন্য একটি এলাকায় গাড়িতে ইসরাইলি হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইল লেবাননের হামাসসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৭০৬ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করার একদিন পর হিজবুল্লাহ ইসরাইলের দিকে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। ইসরাইল এর জবাবে লেবাননে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইসরাইল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়।
ইসরাইলের যুদ্ধে লেবাননে চার হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শত শত বেসামরিক নাগরিকও ছিল। ইসরাইলে ১২৭ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮০ জন সৈন্যও ছিল।
সূত্র : আল জাজিরা